Home / Breaking News / ভোটযুদ্ধে নেমে পড়লেন মমতা, কমিটি গড়ে প্রার্থী বাছাই শুরু

ভোটযুদ্ধে নেমে পড়লেন মমতা, কমিটি গড়ে প্রার্থী বাছাই শুরু

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনী প্রচারের কৃৎকৌশল নির্ধারণে নিজের টিম তৈরি করে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ মোট ১২ জনের কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন নেত্রী। রাজ্যের মোট ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের সব আসনেই জয় যে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য, সেই সুর আগেই বেঁধে দিয়েছেন তিনি। সেই বিজয়ের উদ্দেশ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ইতিমধ্যেই জেলাগুলি ময়দানে নামতে শুরু করেছে। প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে দেওয়াল লিখন শুরুরও নির্দেশ চলে গিয়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্যের ২৯৪টি আসনে তিনিই প্রার্থী। অর্থাৎ ব্যক্তি নয়, দলের প্রতীকই মুখ্য। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধীদের কুৎসার জবাবে এভাবেই নিজের ভাবমূর্তিকে বাজি ধরেছিলেন মমতা। তার ফলও হাতেনাতে পেয়েছিলেন। রাজ্যবাসী রেকর্ড ভোট দিয়ে দ্বিতীয় দফায় মসনদে বসিয়েছিল মমতাকে। এবারের লড়াই শুধু রাজ্যের পরিসরে সীমাবদ্ধ নয়। গোটা দেশের নজর কেড়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একদিকে উন্নয়নমুখী কার্মকাণ্ড, অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির বিভাজনের রাজনীতির বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে সর্বভারতীয় স্তরে কেন্দ্রের শাসক বিরোধী সব শক্তিকে একমঞ্চে হাজির করেছেন। এককথায়, বিরোধী ঐক্যের মধ্যমণি মমতাকে ঘিরে সপ্তদশ লোকসভায় আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে বিকল্প সরকার গঠনের সম্ভাবনা ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে। তাই নিজের রাজ্যের বাইরেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক গুরুত্ব এবার নজিরবিহীন ভাবে বেড়ে চলেছে। একই প্রেক্ষিতে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘৪২’ এ ‘৪২’ আসনেই ঘাসফুলের বিজয় নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যেই প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচারের কৃৎকৌশল নির্ধারণে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এগতে চাইছেন মমতা। দলে তাঁর নিজস্ব কিচেন ক্যাবিনেটের এক ডজন সদস্যকে নিয়ে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করেছেন। কমিটির সদস্যরা হলেন, সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শশী পাঁজা এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার বলেন, এই কমিটির কাছে প্রার্থীপদের আবেদন জমা পড়লে তারা তা নিয়ে পর্যালোচনা করে সভানেত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠাবে। তবে বরাবরের মতো তালিকা চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রীই। তাঁর দাবি, তৃণমূল লোকসভা ভোটের কাজ অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছে। জেলাগুলির কোর কমিটির বৈঠকের কাজ জোরকদমে চলছে। পরীক্ষার কারণে মাইক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ থাকায় হল বা ঘেরা জায়গায় নির্বাচনী সংগঠনের প্রস্তুতি সভা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, প্রতি জেলায় বুথ স্তর পর্যন্ত যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাদের সংশ্লিষ্ট বুথের পরিস্থিতি জানাতে হবে উচ্চতর কমিটির কাছে। সম্ভাব্য ফলাফল আগাম জানিয়ে দিতে হবে। ভোটের ফল প্রকাশের পর তা কতটা মিলল, খতিয়ে দেখা হবে। নির্বাচনী সংগঠন গড়তে এত কঠোর অনুশাসন অতীতে কোনও ভোটে দেখা যায়নি। তৃণমূলের এক নেতার মতে, এবারের ভোটের লড়াইটাও ব্যতিক্রমী। কেননা, এবারের ভোটের ফলাফলের উপর দেশের আগামী লোকসভার চালিকা শক্তি কার হাতে থাকবে, তা নির্ভর করবে। সেক্ষেত্রে বাংলায় তৃণমূলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য নিশ্চিত করাটাই মমতার চ্যালেঞ্জ।তাই প্রার্থী বাছাই থেকেই প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে ফেলছেন তৃণমূল নেত্রী। বিদায়ী লোকসভায় দলের যে ৩৪ জন সাংসদ ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই এবার ফের টিকিট পাচ্ছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা স্বয়ং। বর্তমান সাংসদদের মধ্যে বীরভূমের বোলপুর ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দুই সাংসদের সঙ্গে দলবিরোধী কাজের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তৃণমূল। এছাড়া একাধিক সেলিব্রিটি সাংসদ এবার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রার্থী বাছাইয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সচেতন মুখই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। মমতা বলেছেন, যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে। কয়েকজনকে যে বাদ দেওয়া হবে, তারও ইঙ্গিত তিনি নিজেই দিয়েছেন কোর কমিটির বৈঠকে। কে প্রার্থী হবেন, সেটা বড় ব্যাপার নয়। দলের প্রার্থীর হয়ে লড়তে হবে, এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

এক ঝলকে

যত পুলিশি অত্যাচার,মিথ্যা মামলা হবে,ভোটের দিন জঙ্গলমহলের মানুষ সুদে আসলে তুলবে : শুভেন্দু

অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : গত ২৬ শে এপ্রিল দলের প্রার্থীর সমর্থনে ঝাড়গ্রামের একটি …

Leave a Reply