Breaking
8 Dec 2025, Mon

এলইডির দাপটেও অম্লান দেওয়ালি পুতুল

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- মাটির প্রদীপ আগেই হার মেনেছে এলইডি আলোর কাছে। আধুনিক রঙিন আলোর নানা নকশার কাছে মাটির প্রদীপ, ডিবরি, কুপি এমনকী মোমবাতির বাজারও মার খাচ্ছে দিন দিন। ব্যতিক্রম শুধু ঝাড়গ্রামের ঐতিহ্যশালী দেওয়ালির পুতুল। প্রতিযোগিতায় এখনও অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে সে! দেওয়ালি উৎসবের সময় ঝাড়গ্রাম ও তার আশপাশে এখনও এই মাটির পুতুল ব্যবহৃত হয়। মাঝে এক সময় বিক্রি তলানিতে এসে ঠেকেছিল। বছর কয়েক হল ফের বিক্রি বেড়েছে। মৃৎশিল্পীর কথায়, “বৈদ্যুতিক আলোর দাপটে প্রদীপ-ডিবরির চাহিদা অনেকটাই কমেছে। দেওয়ালি পুতুল অবশ্য এখনও টিকে আছে। আগের বছর বিক্রি ভালই হয়েছে কিন্তু এ বছরও বিক্রি কেমন হবে সেটাই ভাবাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের।

দেওয়ালি পুতুল তৈরিতে যেমন হাতের সূক্ষ কারুকার্য থাকে, তেমন চাক- ছাঁচেরও সাহায্য নেওয়া হয়। কোনও পুতুলে দু’টি হাত থাকে। আবার কোনও পুতুলে আবার আট- দশটিও হাত থাকে। এই পুতুলগুলোয় থাকে প্রদীপ বা ডিবরি বসানোর ব্যবস্থা। এক- একটির আবার এক-এক রকম উচ্চতা। দশ-বারো ইঞ্চি থেকে শুরু। দু’-তিন ফুটেরও হয়। অবশ্য এখন দু’-তিন ফুটের দেওয়ালি পুতুল খুব কমই তৈরি হয়।

মৃৎশিল্পীর কথায়, “বেশি উচ্চতার পুতুল অনেকে কিনতে চান না। তৈরি করলে পড়েই থাকে। তাই কেউ বরাত দিলেই দু’-তিন ফুটের পুতুল তৈরি করি। সাধারণত, ছোট পুতুলই বেশি বিক্রি হয়।” বৈচিত্র্যময় এই পুতুল শুধু ঝাড়গ্রাম ও আশেপাশের এলাকাতেই নয় কলকাতার বাজারেও ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই বাংলার প্রাচীন এই মৃৎশিল্প পাল্লা দিচ্ছে আধুনিক চায়না লাইটের সঙ্গে।

Developed by