Home / Breaking News / ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের দ্বারা ‘হেনস্থার শিকার’ হয়ে সিঁড়িতে ধর্ণায় বসলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা!

ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের দ্বারা ‘হেনস্থার শিকার’ হয়ে সিঁড়িতে ধর্ণায় বসলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা!

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ওয়েব ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের দ্বারা ‘হেনস্থার শিকার’ হয়ে সিঁড়িতে ধর্ণায় বসলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা! সোমবার রাতে এহেন ঘটনায় শোরগোল পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার গৌতমেশ্বর মজুমদার, হাসপাতালের সহকারি সুপার স্নেহাশিষ পাত্র। তাঁরা হাতজোড় করে মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সিঁড়ি থেকে উঠে আসার জন্য। এদিন বিকেলে লালগড়ে ঝড়-বৃষ্টির বাড়ি সহ মানুষজন জখম হন। ঝড় থামার পর লালগড়ে যান রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। জখম ব্যক্তিদের প্রথমে লালগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিজনেরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৌলী মুর্মু নামে এক মহিলাকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকেরা। মৌলীর পরিবারের সঙ্গে মন্ত্রীও আসেন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে জখম রোগীকে দেখানো থেকে শুরু করে এক্স-রে সবকিছু করেন মন্ত্রীর তদারকি করে। তারপর মহিলা সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় জখম মহিলাকে। তখন সেখানে ডিউটি করছিলেন সার্জারি চিকিৎসক সৈকত রানা। চিকিৎসক জখম মহিলার কি হয়েছে জানতে চান। মহিলার ছেলে বৈদ্যনাথ মুর্মু বলেন,‘আমি সামনে যেতেই ডাক্তারবাবু বলেন আমার কান পরিস্কার। দূর থেকে বলুন। তারপর আমি দূরে এসে পুরো বিষয়টি বলি। তখন ডাক্তারবাবু বলেন কোথায় জখম হয়েছে দেখান। তখন আমি মায়ের হাঁটু দেখাতে গেলে আমাকে ডাক্তার রেগে বলেন মহিলা ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান।’ হাসতাপালের রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবহার নিজের চোখে দাঁড়িয়ে দেখেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তারপর মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা চিকিৎসককে বলেন,‘আপনার নাম কি?’ চিকিৎসক বলেন,‘আপনাকে চিনি না। জানি না। নাম কেন বলব?’ মন্ত্রী বলেন,‘তারপর ওই চিকিৎসক বেশ কিছু অপমানজনক কথা বলেন।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিঁড়িতে বসে পড়েন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে আসেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার গৌতমেশ্বর মজুমদার, হাসপাতালের সহকারি সুপার স্নেহাশিষ পাত্র। তাঁরা হাতজোড় করে মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সিঁড়ি থেকে উঠে আসার জন্য। শেষমেষ ওই চিকিৎসক মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর তিনি সেখান থেকে উঠে আসেন। হাসপাতাল ছাড়ার আগে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেন,‘হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যা শুনেছি আজকে নিজের চোখে দেখলাম উনাদের ব্যবহার রোগীর পরিবারকে। চিকিৎসককে আমরা ভগবানের চোখে দেখি। মানুষজনকে চিকিৎসকের এরকম ব্যবহারে আমি অবাক!’

এক ঝলকে

যত পুলিশি অত্যাচার,মিথ্যা মামলা হবে,ভোটের দিন জঙ্গলমহলের মানুষ সুদে আসলে তুলবে : শুভেন্দু

অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : গত ২৬ শে এপ্রিল দলের প্রার্থীর সমর্থনে ঝাড়গ্রামের একটি …