Breaking
1 Nov 2024, Fri

জেলাশাসকের আতস কাঁচের তলায় কুমুদ কুমারী!

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা তখন সকাল সাড়ে এগারোটা। বুধবার ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনে আচমকা হাজির হলেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ। সেই সময় সবে স্কুলের প্রথম পিরিয়ড শেষ হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়ারা মাঠে ঘোরাফেরা ও খেলাধুলো করছিল। ক্লাসের সময় পড়ুয়াদের বাইরে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন জেলাশাসক। তারপরই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) লক্ষ্মীধর দাসকে ফোন করে স্কুলে তৎক্ষণাৎ ডেকে পাঠান। তারপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন স্কুলে জেলাশাসক আয়েষা রানি এ হাজির হয়েছেন। হঠাৎ স্কুলে জেলাশাসক চলে আসায় স্কুলের শিক্ষকরা যেন থরহরিকম্প। স্কুলে ঢুকেই জেলাশাসক দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাসে চলে যান। সেই সময় ক্লাস সেরে বেরোচ্ছেন স্কুলের টিচার-ইনচার্জ নিরঞ্জন মান্না। তারপরই ওই ক্লাসে ক্লাস নেন জীববিদ্যার শিক্ষক প্রণয়কুমার পতি। জেলাশাসক সোজা একবারে বেঞ্চের শেষে পড়ুয়াদের কাছে গিয়ে বসে পড়েন। ক্লাস কিছুক্ষণ চলার পর তিনি পড়ুয়াদের প্রশ্ন করেন। তারপর তিনি কলা বিভাগের ক্লাস রুমে যান। সেখানে ক্লাস নিচ্ছিলেন সংস্কৃতের শিক্ষক শুভজিৎ জানা। জেলাশাসক ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চান, রোলকল হয়েছে কিনা। তারপরই জেলাশাসক বাণিজ্য বিভাগের ক্লাসে যান। সেই সময় বাণিজ্য বিভাগে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক ওই ক্লাসে গিয়ে পড়ুয়াদের কিছু প্রশ্ন করেন। পড়ুয়ারা কিন্তু জবাব দিতে পারেনি। সঞ্জীববাবু জেলাশাসককে জানান, এটা সিলেবাসের মধ্যে নেই। কিন্তু স্কুল সূত্রে খবর, বুধবার বাণিজ্য বিভাগে মাত্র এক জন পড়ুয়া হাজির ছিল। জেলাশাসক স্কুলে আসায় স্কুল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের বাণিজ্য বিভাগের ক্লাসে বসিয়ে দেন বলে অভিযোগ। যা কিন্তু জেলাশাসক ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। তারপর স্কুলের ল্যাবরেটরির সামনে আবর্জনা দেখে বিরক্ত হন জেলাশাসক। এছাড়াও জেলাশাসক স্কুলের শিক্ষকদের বলেন, তাঁদের টিউশনি পড়ানো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এটা ঠিক নয়। টিউশনি পড়ানো বন্ধ করতে হবে। জেলাশাসক স্কুলের টিচার-ইনচার্জ নিরঞ্জন মান্নাকে বলেন, ‘এত পড়ুয়া বাইরে কেন ঘোরাঘুরি করছে? স্কুলের কোন শৃঙ্খলা নেই কেন? সুষ্ঠু নিয়মানুবর্তিতা চালু করুন।’

Developed by