অরুপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম :ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে আগামী ২৫ মে ভোট গ্রহণ ,সব রাজনৈতিক দল তাদের প্রচার কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রচারের তাপমাত্রা বাড়াতে শুরু করেছে।ভোটার প্রাক্কালে এই গরম আবহাওয়ার মাঝেই কিন্তু ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম পৌরএলাকার ভোটার দের সাথে কাউন্সিলারদের একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে।ঝাড়গ্রাম পৌরসভার কাউন্সিলারদের একাংশের কাজে অসন্তুষ্ট ঝাড়গ্রাম শহরবাসী এবং তার প্রভাব আগামী লোভসভা ভোটে পড়তে পারে বলে মনে করছে জেলার জনৈতিক মহল।গত ঊনিশের লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ১৮ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতেই শাসকদল পিছিয়ে ছিল,লিড পেয়েছিলো বিজেপি যার ফলস্বরূপ ঝাড়গ্রাম লোকসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হয় এবং বিজেপির কুনার হেমব্রম জয়লাভ করেন।ঊনিশের লোকসভা ভোটের ২ বছর পর আবার বিধানসভা ভোটে ১৮টি ওয়ার্ড থেকেই তৃণমূল লিড পায়। ২২ এর পৌরসভা ভোটে ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি তৃণমূল,একটি নির্দল এবং একটি সিপিআইএম এর দখলে যায়।পৌরসভার ভোটে শাসকদলকে পৌরএলাকার মানুষ দু হাত তুলে আশীর্বাদ করলেও বর্তমানে পৌরবাসী কাউন্সিলারদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে। পৌরবাসীদের অভিযোগ এলাকার কাউন্সিলররা এলাকায় ঠিক মতো সময় দেননা, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতেও ভুলে গেছেন। জরুরীকালীন কোনো শংসাপত্র প্রয়োজন হলে তা স্থানীয় কাউন্সিলরকে বললে তিনি আজ কাল বাহনা দেন ,বা কখনো কাউন্সিলারের নিজের সময় মতো পৌরবাসীকে দেখা করার নির্দেশদেন। এলাকার কোনো সমস্যা সমাধানে কাউন্সিলারদের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নিতেও দেখা যায়না বলে একাংশের অভিযোগ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সাধারণ মানুষের সাথে সবসময় ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে চান তাদের অভাব অভিযোগ শুনতে চান এবং দলের নেতা,পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ,এমপি ,এমএলএ,কাউন্সিলার প্রত্যেককেই সাধারণ মানুষদের পাশে থাকারও নির্দেশ দেন তাসত্বেও সেখানে কাউন্সিলদের এহেন আচরণে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ ঝাড়গ্রাম পৌরবাসী।এক যে পৌরবাসীরা দুহাত তুলে শাসকদলকে আশীর্বাদ করেছিল,কাউন্সিলারদের এই আচরণে সেই পৌরবাসীরাই বর্তমানে তাদের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করায় জেলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে তাহলে কী আগামী লোকসভা ভোটে আবার ঊনিশের স্মৃতি ফিরতে চলেছে ?এর উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ৪ জুন।এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দেবাশীষ কুন্ডু বলেন ” অন্যান্য পৌরসভার মতো ঝাড়গ্রাম পৌরসভা ও কোনো কাজ করেনা, মানুষের সমস্যা দেখেনা। রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ গুলি কিছুটা হলেও সেখানেও লুঠ চলছে। মানুষ এই সব দেখছে আগামী দিনে মানুষ সঠিক রায় দিয়ে দেবে”। অপরদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুর দাবি ” কোথাও একটু আধটু খামতি থাকতে পারে সেটা আমাদের দলের তরফ থেকে ঠিক করে নেওয়া হবে, তবে ২০১৯ সালের সাথে ২০২৪ এর কোন মিল নেই। জঙ্গলমহলের মানুষ ঝাড়গ্রামের মানুষ মমতা ব্যানার্জির সাথেই আছে এবং আগামী দিনে মমতা ব্যানার্জির সাথেই থাকবেন “।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…