শহরের উপকণ্ঠে থাকা চার্চ ও স্কুলের গেট ভেঙে স্কুলে ঢুকে পড়ে একটি দলছুট হাতি । যার জেরে স্কুলের ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা বাগানের কলাগাছ খেয়ে পাঁচিল ভেঙে ফেলে হাতিটি । এই ঘটনার জেনে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রাম এলাকার । হলি ট্রিনিটি চার্চ ও হলি ট্রিনিটি স্কুলের মধ্যে ডেকে পড়েছিল হাতিটি । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আনুমানিক রাত্রি দশটার সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি হাতি ঝাড়গ্রাম শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হলি ট্রিনিটি চার্চে ঢুকে পড়ে । সেই সময় প্রার্থনা করছিলেন চার্চের ফাদার । বিকট শব্দ শুনে তিনি বাইরে দেখে কলাবাগানে আস্তো হাতি । বিষয়টি তড়িঘড়ি চার্চের সকলকে জানাই । চার্চের মধ্যেই রয়েছে ছাত্রদের থাকার হোস্টেল । এলাকায় হাতি ঢুকেছে এই খবর পেয়ে চার্চের সামনে পৌঁছায় পুরাতন ঝাড়গ্রামের বহু মানুষ । চার্চের ভিতর প্রায় ২০-২৫ মিনিট ধরে কলাগাছ খাওয়ার পর এলাকার মানুষের তাড়া খেয়ে চার্চের পাঁচিল ভেঙ্গে বেরিয়ে যায় হাতিটি । পরে অবশ্য চার্চের পাশের গ্রাম ফুলবেড়িয়ার গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেখানেও বেশ কয়েকটি কলা গাছ খাওয়ার পরে জঙ্গলে চলে যায় হাতিটি । জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেও এলাকায় হাতিটি ঢোকার চেষ্টা করছিল । স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পা বসাক বলেন, “একটি বুনো হাতি জঙ্গল থেকে এসে গির্জার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল । ভেতরে ঢুকে বাগান তছনছ করে দিয়েছে । পরে গ্রামবাসীরা সবাই মিলে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়” । শহরের মধ্যে মাঝেমধ্যে ঢুকে পড়ছে হাতি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা এমনই দাবি করেন বাপ্পা বসাক । তিনি বলেন, “এর আগেও আমরা দেখেছি ঝাড়গ্রাম শহরের মধ্যে হাতি ঢুকে পড়ে । এর জন্য বনদপ্তর এর ব্যর্থতা রয়েছে । এখান থেকে মাত্র ২০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে ফরেস্টের বিট অফিস । তা সত্য আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । শহরের মধ্যে যেকোনো সময় হাতি ঢুকে যাচ্ছে । আমরা যখন সকলে মিলে হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিয়েছি, তারপরে এখানে পৌঁছায় বন দপ্তরের কর্মীরা”।
হলি ট্রিনিটি স্কুলের ইনচার্জ সুশান্ত পিন্টক তিনি বলেন,” গতকাল রাত্রে একটি হাতি কলাবাগানে ঢুকে পড়েছিল । ফাদার প্রার্থনা করছিলেন । তিনি হাতিটিকে দেখতে পেয়ে ছিলেন । হাতিটিকে দেখার পর পাড়ার ছেলেদেরকে সাহায্য করার জন্য ডাকা হয় । পাড়ার ছেলেরা এসে হইচই করে সবজি বাগান হয়ে পাঁচিলের কাছে গিয়ে তিন জায়গায় পাঁচিল ভাঙ্গে । পাঁচিল ভাঙ্গার পর কুড়ি পঁচিশ মিনিট পরে হাতিটি বেরিয়ে যায়”। তিনি আরো বলেন,”হাতি শান্ত ছিল । যারা হাতি তাড়ানোর জন্য এসেছিল তারা এত চিৎকার করেছে হাতি ঠিক করে রাস্তা বুঝতে পারেনি । যদি এক দিক থেকে চিৎকার হত তাহলে হাতি ঠিক একদিকেই বেরিয়ে যেত । অনেক চিৎকার করার কারণে হাতি বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল” । হাতিটি একটি গেট ভেঙেছে বাগানের কিছু শাকসবজি খেয়েছে এবং তিন জায়গায় পাঁচিল ভেঙেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
ঝাড়গ্রাম শহরে হাতি ঢুকে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয় । বহুবার দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরে দল ছুট হাতি ঢুকে পড়ে এবং হাতির হানায় মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের ।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…