Breaking
18 Dec 2025, Thu

লকডাউনের জেরে পায়ে হেঁটে কার্শিয়াং থেকে শীতলকুচির বাড়িতে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক: রাজ্যে কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও দূরপাল্লার ট্রেন চালু রয়েছে। তাতে ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি বলতে রয়েছে টোটো অথবা অটো। ফলে দূরবর্তী জায়গায় বাড়িতে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিতে চাইলেও যেতে চাইছে না চালকরা। বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে রিজার্ভ করতে হচ্ছে যানবাহন। যা অসম্ভব হয়ে পড়েছে অনেকের কাছে। ফলে হেটেই বাড়ির দিকে যাত্রা করছেন অনেকে। গতকাল রাতে কার্শিয়াং থেকে শীতলকুচি উদ্দেশ্যে গুঞ্জন সিং ও তিন বলদের মতো ১১ জন পরিযায়ী শ্রমিক সড়কপথে গাড়ির অভাবে পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন বাড়ির দিকে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে কার্শিয়াং-এ রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান শীতলখুচি ব্লকের ১১ জনের একটি পরিযায়ী শ্রমিকের দল। লকডাউন থাকার কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।ঠিকাদারের অধীনে কাজ করলেও সঠিক মজুরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন তারা। কিন্তু গাড়ি নেই। তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত আসেন ওই শ্রমিকরা। এদিন কোন্দল সিং নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, “কার্শিয়াং থেকে পায়ে হেঁটে দার্জিলিং এসেছি, কোন গাড়ি পায়নি। তারপর শিলিগুড়িতে হয়ে ফুলবাড়ীতে এসেছি পায়ে হেঁটে।”
এরপর তারা আক্ষেপ এবং কষ্টের সুরে আরও বলেন, “এতদূর পায়ে হেঁটে আসলাম জলের অভাব রয়েছে। কারো বাড়িতে জল আনতে গেলে জল নিতে দেয় না। কোন দোকানপাট খোলা নেই, কিছু যে খাবো তারও পয়সা নেই। তারপর এক সাংবাদিকের সহযোগিতায় ফুলবাড়ি মোড় থেকে একটি চা পাতার গাড়িতে অনুরোধ করে মাথাভাঙ্গা কলেজ মোড়ে আসি আমরা। আমাদের ১১ জনের মধ্যে যত খুচরো পয়সা ছিল সব গাড়ীর ড্রাইভারকে দিয়ে দিয়েছি। এখন নিঃস্ব আমরা। তাই আবারও কলেজ মোড় থেকে শীতলকুচির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি।”

Developed by