Breaking
16 Dec 2025, Tue

করোনা পরিস্থিতিতে ছোট হচ্ছে দুর্গা প্রতিমার আকার

জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক :- প্রতীক্ষার আর মাত্র ৪০দিন! ২৪ আশ্বিন অর্থাৎ ইংরেজির ১১ অক্টোবর অসুরবিনাশিনী দশোভূজা মা আসছেন আমাদের মাঝে । তবে পঞ্জিকা মতে এবছর দেবীর ঘোটকে আগমন, ফল ছত্রভঙ্গ। দোলায় গমন, ফল মড়ক। তবে পঞ্জিকা যাই বলুক, দীর্ঘ দু’বছরে যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার থেকে আর কি এমন বেশি হতে পারে! এমনই মনে করেন ভক্তবৃন্দরা, তাদের বিশ্বাস মায়ের কৃপায় নিশ্চয়ই রক্ষা পাবে ভক্তবৃন্দরা।
গতবছর অনেক দুর্গা প্রতিমার আকার আকৃতি ছোটো করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নমো নমো করে পূজিতা হয়েছেন মা দুর্গা। কোথাও আবার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিলো, সরকারি তরফ থেকেও পুরাতন দূর্গৎসব কমিটি গুলি পেয়েছে সহযোগিতা! কারণ শুধু ভক্তি বা আবেগ নয় এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে ভক্তবৃন্দ দের মানসিক স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিও।
তবে ঠাকুরের আকার আকৃতি ছোট হওয়ার প্রবণতা জন্মেছে সেই থেকেই। এ বছরেও বড় দুর্গা প্রতিমার অর্ডার খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে শান্তিপুরের তৈরি প্রতিমা, দেশ বিদেশে যাওয়ার পাশাপাশি কলকাতা কুমারটুলির অর্ডারও সামলাতে হয় বেশ খানিকটা, তবে সবেতেই খর্ব হয়েছে মায়ের আকৃতি, হয়তো পুজো বাজেটেও পড়বে কোপ! তবে পুজো উদ্যোক্তারা জানান আবেগ উচ্ছ্বাসে এতোটুকু ভাটা পড়তে দেবেন না তারা।
শান্তিপুরের গোপাল পুরের বাসিন্দা মৃৎশিল্পী সোমনাথ পাল জানান, বংশপরম্পরায় অনেকপুরুষ ধরে তারা এ কাজের সাথে যুক্ত। গত লকডাউনে না খেতে পাওয়ার মতন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো, তবে কুমারটুলির অর্ডারে কিছুটা স্বস্তি যুগিয়েছে পরিবারে। ১৫ইঞ্চি এবং ২৪ইঞ্চি এই দুই মাপের পঞ্চাশটি ঠাকুরের অর্ডার পেয়েছেন এ বছরেও। সিংহ, অসুরের চেহারার বিভিন্ন পরিবর্তনে কলকাতা কুমারটুলি থেকে প্রাপ্ত ছবি অনুযায়ী তারা বিভিন্ন রকমারি ঠাকুর প্রস্তুত করেছেন। তবে ওজনের মাপ বেঁধে দেওয়া হয়েছে, প্লেনে দূর-দূরান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই প্রতিমা গুলি বেশিরভাগ মাটির তৈরি হলেও , কিছু প্রতিমা সহজে ভঙ্গুর নয় এমন কোনো উপাদান দিয়েও তৈরি করতে হয় মাঝেমধ্যেই।

Developed by